মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হবে। মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সেই মাটিতে ফলমূল, শাক-সব্জিসহ সব ফসলই অধিক পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে আমরা বেশি বেশি করে ফলমূল, শাক-সব্জি করে খেতে পারবো। আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখতে যেমন বেশি করে ফলমূল, শাক-সব্জি খেতে হবে তেমনি মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে জমিতে বেশি বেশি জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। আর সেই জৈব সারের ঘাটতি পূরণ করতে পারে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব মোঃ হামিদুর রহমান গত ০৩/১১/২০১৬ তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলার চলমান কৃষি কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ছোট বালিয়া গ্রামে কেঁচো কম্পোষ্ট ভিলেজের কৃষক কৃষাণীদের সাথে মত বিনিময়কালে কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন মানুষের ভাগ্যেরও পরিবর্তন করা সম্ভব। সে সঙ্গে উচ্চ মূল্যের সুগন্ধি ধান, সজিনা, দেশি বড়ই, রসুন, আদা, গ্রীস্মকালীন টমেটো, তাল, খেজুর ইত্যাদি ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। মহাপরিচালক মহোদয় পরে সেখানে সাইট্রাস ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বারি মাল্টা-১ এর চারা বিতরণ করেন। এরপর তিনি একই ইউনিয়নের বগুলাডাঙ্গী গ্রামে যান এবং বছরব্যাপি ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শনীর ৬০ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে খাটো জাতের (ভিয়েতনামীÑওপি) চারা বিতরণ করেন এবং উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কেঁচো কম্পোষ্ট ভিলেজ এর উদ্বোধন করেন।
তারপর ডিজি মহোদয় জেলার হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং কৃষক-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। সবশেষে ডিজি মহোদয় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে সফর সঙ্গী ছিলেন সাইট্রাস ডেভলভমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ ফরিদুল ইসলাম, দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মোঃ জুলফিকার হায়দর, উপপরিচালক মো: রেফায়তুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও এর উপপরিচালক জনাব মোঃ আরশেদ আলী, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার জনাব মো: জাহেরুল ইলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং সদর কৃষি অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান প্রমুখ।